অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চোরের মৃত্যু, আটক ১
অনলাইন ডেস্ক
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামে চুরি করতে এসে হাত কাটা পড়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। শুক্রবার (১৩ জুন) রাতের এ ঘটনার পর শনিবার সকালে গ্রামের একটি বাড়ির আঙিনায় রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নিহতের নাম সায়মন হাসান ওরফে রনি (২৭)। তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বোদারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মাইজবাড়ি গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন (২৮)–কে আটক করেছে পুলিশ। ইকবাল একজন কাঠমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ইকবাল হোসেনের ঘরে চোর হানা দেয়। টিনের বেড়া কাটার শব্দে ইকবালের ঘুম ভেঙে যায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি দা হাতে বেড়ার পাশে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর চোর বেড়া কেটে হাত ভিতরে ঢোকালে ইকবাল সেই হাতে দা দিয়ে কোপ দেন এবং 'চোর চোর' বলে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে চোর পালিয়ে যায়।
এরপর শনিবার সকালে মাইজবাড়ি গ্রামের আরেকটি বাড়ির আঙিনায় সায়মন হাসানের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার ডান হাতে গভীর কোপের চিহ্ন ছিল, যা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে সদর থানার বারান্দায় আটক ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি চোরের হাতে এক কোপ দিয়েছি, তবে তার মুখ দেখিনি।”
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “শুক্রবার রাতে চুরির ঘটনায় গ্রামবাসী আমাদের খবর দেয়। ইকবাল দা দিয়ে কোপ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে ঘটনাটি আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে তদন্ত করে দেখছি।”

No comments: