দোয়ারাবাজারে বাজিতপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের রাস্তাটি পাকাকরণের জোর দাবি
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাজিতপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ থেকে স্থানীয় সংবাদকর্মী আবু সালেহ মোঃ আলা উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে আছে। বর্ষা এলেই রাস্তাটি যেন পরিণত হয় এক দুর্ভোগের ‘মরণফাঁদে’। কাদা আর গর্তে ভরা এই রাস্তা এখন শত শত মানুষের নিত্যদিনের যন্ত্রণার নাম।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন এই রাস্তাটি দিয়ে দুই-তিন শতাধিক স্কুলগামী শিশু-কিশোরসহ কয়েকশত মানুষ যাতায়াত করে। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে শিশু-কিশোররা কাদায় পিছলে পড়ে আহত হয়। কেউ কেউ ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
এলাকাবাসী শাহাব উদ্দিন, মোঃ কামাল উদ্দিন এবং এরশাদ আলী মেম্বার বলেন, “প্রতি বছরই নির্বাচনের আগে এই রাস্তা পাকাকরণের আশ্বাস দেয়া হয়, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। সন্তানদের লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ আজ কাদায় আটকে গেছে।”
মানিক মিয়া ও মোঃ সফিক মিয়াও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাস্তাটি আমাদের গ্রামের বাইরের সঙ্গে একমাত্র সংযোগ। কিন্তু কষ্ট যেন আমাদের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।”
স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ আলা উদ্দিন বলেন, “এই রাস্তাটি শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি যেন আমাদের জীবনের রক্তধারা। বছরের পর বছর ধরে আমরা অবহেলার শিকার হচ্ছি। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর আবেদন জানাই— রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ ও সংস্কার করা হোক।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুবার লিখিত আবেদন ও মৌখিক অনুরোধ করেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। ফলে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অবিলম্বে রাস্তাটির উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না পেলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।
এখন স্থানীয়দের একটাই প্রশ্ন— “কবে মিলবে একটু শুকনো পথ, একটু নিশ্চিন্ত চলাচল?”
তাদের প্রত্যাশা, প্রশাসনের দৃষ্টি এবার অন্তত বাস্তব প্রতিশ্রুতিতে পরিণত হবে।

No comments: