মাওলানা আব্দুস সালাম আল-মাদানীর শেষ কর্ম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ছাতকের প্রাচীন তম দ্বীনি বিদ্যাপীঠ গোবিন্দ নগর ফজলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী র দীর্ঘ ২৮ বছরের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালনের আজ ছিল শেষ কর্ম দিবস|এ উপলক্ষে আল ফজল ছাত্র সংসদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়|

২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকায় মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে গভর্ণিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার শাব্বির আহমদের সভাপতিত্বে সহকারি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আযীযের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.ইসমাঈল হোসেন|বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল|মাদ্রাসার সাহিত্য সাময়িকী"আল ফজল"এর মোড়ক উন্মোচন করেন  মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী|

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সোবহান,গভর্ণিং বডির সদস্য মুজিবুর রহমান,বিশিষ্ট মুরব্বি মাষ্টার আব্দুল লতিফ,মাওলানা একেএম ফরিদ উদ্দিন,মাওলানা কাজী আব্দুস সামাদ প্রমুখ। শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনাব দ্বীন ইসলাম,মাওলানা মুয়ীনুল হক মুমিন,মাওলানা শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাতক ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি প্রভাষক আব্দুল হামিদ, বেসিক লার্নার  একাডেমির চেয়ারম্যান নাজমুল হোসাইন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতাউল মগনী,মাওনানা এমরান আহমদ,শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান মিজান,,ছাত্র সংসদের ভিপি হাফিজ বিলাল হোসেন,সাবেক ছাত্র বিলাল আহমদ মেম্বার, আরাফাত আহমদ রাহাত, আব্দুল মমিন, হাফিজ সাঈদুল ইসলাম,অলিউর রহমান,সাবেক ভিপি মাওলানা হাবিবুর রহমান, হাফিজ রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসাইন,ছাত্র সংসদের বর্তমান ভিপি হাফিজ বিলাল হোসেন, জি.এস আবুল হাসান মোঃ আদনান, এ.জি এস হাফিজ নাইমুর রহমান,  সাংগঠনিক সম্পাদক আলিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আহমদ,প্রচার সম্পাদক রায়হানুল আদনান সহ অন্যান্য দায়িত্বশীল বৃন্দ।

গভর্ণিং বডির সাবেক সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মাওলানা মাদানী সম্পর্কে বলেন,তার সাথে শুধু আমাদের জীবিতদের সম্পর্ক নয় বরং আমাদের মৃতদের  সম্পর্ক ও বিদ্যমান|কেউ মারা গেলে মহল্লার ইমাম সাহেব জানাজা পড়ালে দোয়া করার দায়িত্ব ছিল মাদানী সাহেবের|আশা করি তিনি আমাদের জন্য জীবনভর দোয়া করবেন|জনাব বকুল আরো বলেন তিনি শুধু মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন না,ছিলেন আমাদের গোবিন্দগঞ্জ বাজার মসজিদের দীর্ঘ ২৮ বছরের ইমাম ও খতিব,ইমাম মানে নেতা|তাই তিনি আমাদের নেতাও|এই নেতা নির্দিষ্ট কোন দল বা গোষ্ঠীর  নেতা নয়,তিনি ছিলেন আমাদের ধর্মীয় নেতা,ধর্মীয় দৃষ্টি কোন থেকে তিনি আমাদের  সমাজ সচেতনতা মূলক সু-মহান ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন  নির্দেশনা দিতে পারে। এই নির্দেশনার জন্য যারা মাদানী সাহেবকে কষ্ট দিয়েছে তিনি তাদের হেদায়েত কামনা করেন|জনাব বকুল তার বক্তৃতার এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মাওলানা মাদানীকে একটি কার গাড়ি উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন এবং এ ব্যাপারে উপস্থিত শিক্ষক,অভিভাবক এবং  সাবেক-বর্তমান ছাত্রদের সহযোগিতা কামনা করেন।গভর্ণিং বডির সহ সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,মাদানী সাহেব নিজের টাকা খরচ করে হজ্বে গিয়ে এলাকার মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে মাদ্রাসার জন্য টাকা কালেকশন করতেন|তাকে আমরা কখনও ভুলবনা। কাজী সামাদ তার বক্তব্যে বলেন,মাদানী সাহেবের কাছে সেই ১৯৯৫ সনে আরবি সাহিত্য পড়েছিলাম এখনও কানে বাজে, তাই তার ছাত্র হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি|