টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন

 প্রান্তিক ডেস্ক: গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের আওতায় আনতে না পারলে টেকসই ও কাঙ্খীত উন্নয়ন সম্ভব নয়। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় দোয়ারাবাজার উপজেলায় মহিলা সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তবে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফয়সল আহমদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামে এ মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা তথ্য অফিস সুনামগঞ্জ উপ-পরিচালক চ-দাঃ মো.আব্দুছ ছাত্তার এর সভাপতিত্বে ও মো.শরীফ হোসেন  অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক সাজেদুল হাসান, সমাজ সেবা অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ সহকারী পরিচালক আব্দুল আলিম প্রমুখ।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার-প্রচারণামূলক এ সমাবেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষাসহ মাদকের ভয়াবহতা, বাল্য বিবাহ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধে প্রচার ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আলোচনা করা হয়। সমাবেশে এলাকার নানা বয়সী দুই শতাধিক নারী অংশ গ্রহণ করেন। এসময় বক্তৃতারা বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মিত অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে বারবার হাত ধোবেন হাতে ময়লা বা নোংরা দেখা না গেলেও বারবার হাত ধুতে পারেন। খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, পশুপাখির পরিচর্যার পর।

বাল্যবিবাহের কুফল ও প্রতিরোধে তারা আরো বলেন, শারীরিক গঠন পূর্ণাঙ্গ হওয়ার আগেই বিয়ে অতঃপর সন্তান জন্ম দেয়ার কারণে বাল্যবধূরা পুষ্টিহীনতায় ভোগে। গর্ভধারণের বয়সে উন্নীত হওয়ার আগেই অল্প বয়সী বালিকাদের বিয়ে দিলে পরবর্তী সময়ে যে গর্ভসঞ্চার হয়, তা নবজাতক ও মা উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর হতে পারে। এজন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে।

মাদক ও সন্ত্রাসের কুফল তুলে ধরে আরো বলেন, সন্তান মাদকাসক্ত বা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িয়েছে কি না তা প্রথমত মা-বাবার দেখার দরকার, এরপর নজরদারিতে রাখার দরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। আপনাদের সন্তানের মধ্যে এমন কিছু দেখলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। আমরা কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে তাদের সুপথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।