দোয়ারা - বড়কাপন ভায়া শ্রীপুরবাজার রাস্তার বেহাল দশা
প্রান্তিক ডেস্ক: দোয়ারা - বড়কাপন ভায়া শ্রীপুরবাজার রাস্তার বেহাল দশার কারনে জন-দূর্ভোগ চরমে পৌঁচেছে।দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে খুড়িয়ে খুড়িয়ে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যদিয়ে চলছেন মানুষজন। ২০০৪-৫ অর্থবছরে নির্মিত প্রায় ১৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিপুল জনসম্পৃক্তপূর্ণ এই হতভাগা রাস্তাটির দুর্গতি বলতে গেলে শুরু থেকেই। জলসী এবং কপলা ব্রীজের এপ্রোচের কাজ এ পর্যন্তই অসম্পূর্ণ। গোজামিল আর ঢিপা-তালি দিয়েই যানবাহন চলছে এপ্রোচ দিয়ে।শ্রমিকরা তাদের ঘাম-ঝড়ানো অর্থ দিয়ে প্রতিবছর ১/২ বার রাস্তার ভাঙ্গাগড়া মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে থাকেন। শ্রীপুরবাজার স্ট্যান্ডের মালিক সমিতির সেক্রেটারি ফরিদ আহমদ ও শ্রমিক সংগঠনের সেক্রেটারি মকদ্দুছ আলী জানিয়েছেন এ ৬ মাসেই তারা লক্ষটাকার কাজ করেও কোন কুল-কিনারা পাচ্ছেন না।ছাতকের জাউয়া বাজার ইউনিয়ন, দক্ষিন সুনামগঞ্জের পূর্বপাগলা ইউনিয়ন এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার দোয়ারা সদর, পান্ডারগাও, মান্নারগাও, দোহালিয়া ইউনিয়ন সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক লক্ষ মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।জনবহুল এই রাস্তাটির সাথে অত্রাঞ্চলের মানুষের আত্মার সম্পর্ক হয়ে গেছে। বড়কাপন বাজার কপলা বাজার, শ্রীপুরবাজার, মঙ্গলপুর বাজার, মজুরবাজার, বিয়ানী বাজারের মত বানিজ্যিক এরিয়ার বুকচিড়ে চলমান এই রোডের সাথে হাজার হাজার ব্যবসায়ীর ব্যবসা-বাণিজ্য জড়িত। এই ব্যবসা-বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত তিনটি উপজেলার কয়েক লক্ষ জনতা। বলা যায় মূলত এ রাস্তার কারনেই উপরোক্ত বাজারগুলো রাতারাতি ডেভলপ হয়েছে। বেড়েছে জায়গা-জমি ও জীবন-যাত্রার মান। এ রাস্তাকে কেন্দ্র করে হাজার শ্রমিকের আত্ম-কর্মস্থান হয়েছে। চলছে শতশত সিএনজি, লেগুনা,অট-টেম্পু, অট-রিক্সা সহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন। এই ১৯ কিলোমিটার রাস্তায় ৩টি শ্রমিক সংগঠন,২টি মালিক সমিতি জোরেসোরেই চলছে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, চিকিৎসা, আত্মীয়তাসহ সিংহভাগ চলাচল এ পথ দিয়েই সম্পন্ন হয়ে থাকে।
রাস্তার ভগ্নদশার কারণে অনেক মূল্যবান গাড়ি কিছু দিনের মধ্যেই লক্কর-ঝক্কর হয়ে যায়।যে কারনে এ রোডে উন্নত মানের গাড়ি কেউ নামাতে চায়না।অপর দিকে একই কারনে অন্য রোডের চেয়ে এ রোডে গাড়ি বাড়াও বেশী। এপ্রসঙ্গে শ্রীপুরবাজার শ্রমিক সংগঠনের সাবেক সেক্রেটারি আলী আফরান জানিয়েছেন রাস্তার কাজ সংস্কার করা হলে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি সহ ভাড়া বিবেচনা করা হবে।
মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে দোয়ারা, সিলেট সুনামগঞ্জ, জাউয়াবাজার যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে বছরের পর বছর ধরে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী দেবতুষ পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন "শক্তিশালী করণ প্রকল্প " এর আওতায় সংস্কারের জন্য এ রাস্তাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। কবে কাজ শুরু হবে জানতে চাইলে তা বলতে পারেন নি।এমপি মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী যথাশীঘ্রই কাজ শুরু হউক।
Reviewed by প্রান্তিক জনপদ
on
5/26/2021 09:45:00 PM
Rating:



No comments: