সংবাদ শিরোনাম

recent

করোনার ছোবল বোলিং লাইনে

খেলার খবর:: করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্রিকেট বল শাইনিংয়ে থুতু ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এছাড়া বাড়তি ডিআরএস ব্যবহার, টেস্টে স্থানীয় আম্পায়ার রাখা এবং করোনা বদলির সিদ্ধান্তও নিয়েছে। এসব নিয়ম যেমন ক্রিকেটে নতুন দিক খুলে দিয়েছে তেমনি নতুন আলোচনার ক্ষেত্রও তৈরি করেছে। সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় বল শাইনিংয়ের পদ্ধতি। আইসিসির নিয়মের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার বলেছেন, তাহলে যেসব পরিবেশে ঘাম হয় না, যেমন ইংল্যান্ড বা নিউজিল্যান্ডে, বোলার বা ফিল্ডিং দল বল চকচকে করবে কীভাবে? অন্যদিকে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, নতুন নিয়ম বোলারদের ‘রোবট’ বানিয়ে দেবে।
নতুন বলে শাইন করতে সব সময় থুতুর প্রয়োজন পড়ে। আর পুরনো বলে ঘাম ব্যবহার করে থাকেন বোলার-ফিল্ডাররা। পুরনো বল ঔজ্জ্বল্য হারায়। তখন এক পাশ পরিষ্কার রাখার জন্য থুতুর প্রয়োজন পড়ে। শচিন বলেন, যখন থুতুর প্রয়োজন তখনই যদি ব্যবহার না করতে পারে তাহলে যে কোনো দলের জন্যই সমস্যা, ‘অনেক সময় ঘামের সঙ্গে থুতুও ব্যবহার করতে হয় বলের এক পাশ ভারী করার জন্য। কিন্তু সামনে থেকে ফিল্ডিং দলকে শুধু ঘামের ওপরই নির্ভর থাকতে হচ্ছে।’ তার সাবেক সতীর্থ অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসির ক্রিকেট কমিটির করা নতুন নিয়মের সমালোচনা করে শচিন বলেন, থুতু ব্যবহারে ভাইরাস (করোনা) ছড়াবে, কিন্তু ঘাম ব্যবহার ভালো, এই যুক্তি মানছি না।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্রেট লির সঙ্গে আড্ডায় শচিন প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ক্রিকেটারদের এমনিতেই কয়েক লেয়ার জামা পরতে হয় ঠা-ার কারণে। ইংল্যান্ডেও একই অবস্থা। ওই পরিবেশে কেউ তো ঘামে না। তখন দলগুলো কী করবে। আমার এখনো মনে আছে ১৯৯২ এ ইয়র্কশায়ারের হয়ে খেলার সময় আমি ৫ লেয়ারের জামা পরেছিলাম। মে মাসের শুরুর দিকে এই অবস্থা। তাহলে এই পরিবেশে বোলাররা ফিল্ডাররা ঘাম কীভাবে বল শাইনিংয়ে ব্যবহার করবে?’
এছাড়া আইসিসির নতুন নিয়মের সমালোচনাও করেছেন শচিন। জানান মুখের লালা ব্যবহার  স্বাস্থ্যসম্মত না হলে ঘাম ব্যবহার কি স্বাস্থ্যসম্মত? শচিন বলেন, আইসিসির নিয়ম এখন এটা বলছে যে থুতু ব্যবহার ভালো না কিন্তু ঘাম ব্যবহার ভালো। এতে ভাইরাস ছড়ানোর সুযোগ নেই। আমি এটা মানছি না।’
ফিল্ডিং দলের কেউ থুতু ব্যবহার করে ফেললে প্রথমে আম্পায়ার সতর্ক করবে তাকে। কিন্তু দ্বিতীয়বার করলে ৫ রান পেনাল্টি করা হবে। ওই রান যোগ হবে ব্যাটিং দলের স্কোরবোর্ডে। তাই শচিন টেন্ডুলকারের সুপারিশ বলে পলিশ করার জন্য মোমের ব্যবহার থাকুক। এছাড়া টেস্টে এক ইনিংসে ৫০ বা ৫৫ ওভার পর নতুন বলের প্রচলন দেখতে চান শচিন।
ওদিকে, ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘সুইংয়ের জন্য আমি শুরু থেকেই থুতু ব্যবহার করেছি। (নতুন নিয়ম) তাই ধাঁধায় ফেলেছে। কঠিন এই সময়ে সতর্ক তো হতেই হবে। তাই বোলারদের সুইংয়ের জন্য বল পুরনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।’ যেসব দেশে আবহাওয়া ঠান্ডা, সেখানে ঘামে বল সুইং করবে না বলেও জানান ইতিহাসের সেরা বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। তাছাড়া বাড়তি ঘাম বলকে ভারীও করে ফেলবে। ভ্যাসেলিনের মতো কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে আকরামের প্রশ্ন, সেটাও কত করা যাবে। আসন্ন ইংল্যান্ড-উইন্ডিজ টেস্ট সিরিজে বিষয়টা কেমন হয় দেখার অপেক্ষায় আকরাম।
এক ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ার দায়িত্ব পালনের যে রীতি ছিল সেটি আপাতত বন্ধ রাখছে আইসিসি। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক আম্পায়ারই নির্ধারিত ম্যাচের ভেন্যু বা দেশে যেতে পারবেন না। তাই স্থানীয় আম্পায়ার দিয়েই ম্যাচ পরিচালনা করতে হবে। তাই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমও একবার করে বাড়ানো হয়েছে।
করোনার ছোবল বোলিং লাইনে Reviewed by তাওহীদ শাহীন on 6/11/2020 03:47:00 PM Rating: 5

No comments:

Copyright © Prantik Jonopd All Right Reseved 2020
Created by Thawhid Shahin

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.