করোনা প্রতিরোধে শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির নির্দেশনা

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।

জনপদ ডেস্ক 

সম্প্রতি পাশের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিশেষ করে অমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার হার বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এসব নির্দেশনা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানে মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে।

সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ অনুরোধ জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।

ফেসবুক পোস্টে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলো যুক্ত করে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তারাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহকে এই নির্দেশনা অনুসরণ-প্রতিপালনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো। কোভিড ১৯ প্রটোকল অনুসরণ বাধ্যতামূলক।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সতর্কতা জারি করে। তাতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাশের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিশেষ করে অমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ হতে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণরত নাগরিকদের জন্য দেশের সব স্থল-নৌ-বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কগুলো সার্ভেল্যান্স জোরদার এবং রিস্ক কমুনিকেশন কার্যক্রম জোরদারকল্পে সচেতনতামূলক এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ দেয়া হলো।

সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো হলো: বারবার প্রয়োজনমত সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না। হাঁচি-কাশির সময় বাহু-টিস্যু-কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।

পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে করণীয়: দেশের বিভিন্ন স্থল-নৌ-বিমান বন্দরগুলোতে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন। দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে থার্মাল স্কান্যার-ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন। চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান মাস্ক, গ্লোভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুদ রাখুন। ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচতেচনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচার করুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলো ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়: অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন। প্রয়োজন হলে আইইডিসিআর এর হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩